
আশুলিয়া প্রতিনিধি: মাসুদ রানা
আশুলিয়া থানার বিএনপির সহ-সভাপতি বাসেদ দেওয়ানের বিরুদ্ধে দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদকে ভিত্তিহীন ও বানোয়াট উল্লেখ করে এলাকাবাসীসহ সর্বস্তরের জনগণের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুরো এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এলাকাবাসীর দাবি, সৎ, নিষ্ঠাবান ও জনপ্রিয় বিএনপি নেতা বাসেদ দেওয়ানকে রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে একটি কুচক্রী মহল সক্রিয় হয়েছে। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য প্রচার করা হচ্ছে।
বালুমহল নিয়ে সংবাদে মিথ্যাচার
ইনকিলাবের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে বিএনপি নেতা বাসেদ দেওয়ান সিএনবি’র জমিতে অবৈধ বালুমহল পরিচালনা করছেন। তবে সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়—
সিএনবি এলাকা থেকে বালুমহলটি কমপক্ষে ২০০ মিটার দূরে এবং সেটি বাসেদ দেওয়ানের নিজস্ব জমি, যা তিনি মামুন এন্টারপ্রাইজের কাছে ভাড়া দিয়েছেন।
সংবাদে আরও দাবি করা হয়েছে যে বংশাই নদী থেকে বালু উত্তোলন করা হয়, যা এলাকাবাসীর মতে সম্পূর্ণ মিথ্যা। বাস্তবে ট্রলার থেকে বালু ড্রেজারের মাধ্যমে আনলোড করা হয়, নদী থেকে সরাসরি উত্তোলন করা হয় না।
রাজনৈতিক শত্রুতার জের ধরে অপপ্রচার
এলাকাবাসী জানায়, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় বাসেদ দেওয়ান তিনবার চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন, যেখানে তার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগের নেতা পারভেজ দেওয়ান। ভোটে এগিয়ে থেকেও তাকে পরাজিত দেখানো হয় এবং প্রতিবাদ করায় তাকে অমানুষিক নির্যাতনের পর সাভার নির্মাণ ম্যাজিস্ট্রেট এক মাসের জেল দেন।
ইনকিলাবের সংবাদের আরেকটি অংশে বলা হয়—বাসেদ দেওয়ান ও পারভেজ দেওয়ানের মধ্যে সখ্যতা রয়েছে এবং পারভেজ দেওয়ান নাকি বাসেদের ব্যবসা ও পারিবারিক খরচ বহন করেন। এলাকাবাসী ও সুশীল সমাজ এটিকে সম্পূর্ণ বানোয়াট, ভিত্তিহীন এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মন্তব্য করেছেন।
বাসেদ দেওয়ানের প্রতিক্রিয়া
বিএনপি নেতা বাসেদ দেওয়ান বলেন—
“আমার বিরুদ্ধে প্রকাশিত সংবাদ সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও বিভ্রান্তিকর। আমাকে হেয় করতে এবং আমার জনপ্রিয়তা নষ্ট করার উদ্দেশ্যেই এই অপপ্রচার চালানো হয়েছে। বিষয়টি আমি আইনি প্রক্রিয়ায় নিয়েছি এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমে এর প্রতিবাদ জানিয়েছি।”
তিনি মিথ্যা সংবাদের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
---