
লেখা”র থেকে বড় অস্ত্র পৃথিবীতে নাই”
…এম শাহীন আলম শাহীন
লিখন, রচনা, অঙ্কন, লিপিবদ্ধ করা, বা বিন্যস্ত অক্ষর। এটি একটি বিশেষ্য পদ, যার অর্থ কোনো কিছু লিখে রাখা বা তৈরি করা যায়। এর ফলে কোনকিছু দৃশ্যমান হয়। বর্ণের অভিভাবক নেম, “লেখা”। লেখা: শক্তি, লেখা: সভ্যতা, লেখা: ইতিহাস ঐতিহ্য, লেখা : মহা পবিত্র গ্রন্থ আল কোরআন সহ গ্রন্থ্য সবই তো “লেখা”।
তার মানে, বর্তমান বিজ্ঞান যে জিনিস দৃশ্যমান, সেগুলোকে ব্যবহার যোগ্য করে তুলেছেন। যেমন, অন্ধকার, আলো, ইত্যাদি। এসব বিষয় বিজ্ঞান ব্যবহার করছে। তাহলে যদি আমি বলি? লেখার থেকে বড় অস্ত্র পৃথিবীতে নাই, এটা কি ভুল হবে?
কি, বিস্মিত হচ্ছেন?। সারাজীবন শুনে আসলাম কলমের থেকে বড় অস্ত্র পৃথিবীতে নাই। এখন এ ভ্যাডা কি কয়, ত্যাইনা।
আসুন আলোচনা করি?
এখন বিষয় হলো, “লেখা” আর “কলম”? প্রথমে শব্দ দ’টির মধ্যে কোন শব্দটির গুরুত্ব বেশি?
কোন শব্দটির প্রয়োজনীয়তা বেশি ও বেশি গুরুত্ব বহন করে? উত্তর সহজ হওয়ার কথা? এরপরও মন্তব্য যার যার একান্ত বিষয়। আমার মন্তব্য “লেখা? কারণ, (লেখা, মানে উৎস) লেখার প্রয়োজনীয়তা না থাকলে কলম তৈরির প্রয়োজনই হতো না।
লিখতে কলম প্রয়োজন?মাটিতে কঁমচি দিয়েও লেখার কথা মনে আছে কারও? আমার মনে আছে?।
ভূমিকা: নদী মাতৃক ধামরাই উপজেলা নদীর পারবর্তী গ্রামে বসবাস সুবাদে, নদীতে জোয়ার-ভাটার বিশাল তপ্ততাপূর্ণ ধূধূ বালুচর দেখেছি। নদীর তীরে পাঁখিদের বাসা ও কিচিরমিচির শব্দে ধূলতুলা বাতাসে মন হারানো সময় গুলো আমরা কিঞ্চিৎ পরিমাণ দেখেছি উপভোগ করেছি।
ঢল বৃষ্টি(প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টি) শেষে নদী চর বর্ণিল সাঁজে সজ্জিত হত। কোঁথাও বইয়ের আঁকার, কোঁথাও মনে খাতা মেলে রেখেছে। ওই সময় বালুচর দিয়ে হাঁঠতে অনেক মজা লাগতো। জামা নষ্ট হবে জেনেও চরে সৌন্দর্য বোকে তুলে নিত। তখন আঙুল দিয়ে বালুচরে লেখালেখি করা পন্ডিতও মোড়া হয়েছি।
আলোচনা করার জন্য ও আমার দর্শণটি লেখার মাধ্যমে লিপিবদ্ধ করার জন্যই মূলত আলোচনাটি? এর মধ্যে আলোকপাত হচ্ছে আমার শৈশব-কৈশোরের স্মৃতি গুলো। লিখতেছি আর সেইদিনের স্মৃতি গুলো মনে ধূলাদিয়ে যায়। কতই না মজার ছিল সেই সময় গুলো।
“আহা কি আনন্দ আকাশে বাতাসে”
গানও গেয়ে ফেললাম হাস্যরষ স্মৃতি মনে করে।
স্মৃতি কখনও মধুর হয় কখনও পীড়া দেয়।
তবুও জীবন চলে জীবনের গতিতে, মারাত্মক শ্রুত! এমন দূরে নিয়ে ফেলে পিছু ফেরার পথ অসীম। জীবনের শ্রুত নিয়ে পরে একদিন আলোচনা করবো।
গ্রামে বসবাসরত ৮০-৯০ দশকের ছেলে মেয়েরা ধামরাইয়ের বংশী নদীর যৌবন কিছুটা হালকা পাতলা হলেও দেখেছে তার মধ্যে আমিও একজন। বৃষ্টির শ্রুতে বালুচরে মাছ ভেসে আসত। বৃষ্টি থেমে গেলে বালুর চরে অনেক সময় মাছ পাওয়া যেত, এবং অনেক পরিমাণে। নদীর মাছ সহ খালবিলের মাছ বৃষ্টির শ্রুতে নদীর বালুচরে এসে আটকা পরতো। সেগুলো যে ভাবে পারে ধরে নিয়ে যেত। এবং কি উল্লাস, আহা মন মাতিয়ে যায়।
মূলভাব:, কলম তৈরি হয়েছে লেখা সহজতর করার জন্য ও লেখার প্রয়োজনে। মূল শক্তি আমার দর্শণে মনে করি লেখার? লেখার প্রয়োজনে কলম তৈরি? কলম শব্দটি লিখতে গেলেও লেখার ব্যবহার প্রয়োজন। আমি মনে করি লেখা শব্দটির গুরুত্ব উৎস।
প্রয়োজনটা তাহলে লেখার। তাহলে শক্তি যদি বলি লেখার? তাহলে কি উপপাদ্যটি, কলমের থেকে বড় অস্ত্র পৃথিবীতে নেই।
যে ব্যাপারটি কিঞ্চিৎ পরিমাণ ভুল আখ্যায়িত করা যায় কি? আমার ভাষ্য, কলম ভালবেসে উপপাদ্যটি উপহার দিয়েছেন লেখক কলমের সম্মানে।
যিনি কলমকে শক্তি হিসেবে উপস্থাপন করেছেন? স্যরি ভুল হলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন প্লিজ!
পৃথিবীর সর্ববৃহৎ অস্ত্র যদি মনে করা হয় সেটা হবে লেখা”। সর্বআলো যার মধ্যে লোকায়তিক তা হচ্ছে “লেখা”।
“লেখা” নামের যে শব্দটি ব্যবহার করতেছি অর্থাৎ এই অস্ত্রটি দিয়ে যেকোন পরিবেশ শান্ত করা যায় আবার উত্তপ্ত করা সময়ের ব্যাপার মাত্র।
এই অস্ত্রটি কখনই ব্যর্থ হয় না। আল্লাহর অলৌকিক জ্ঞানের ভান্ডার কিঞ্চিৎ নমুনা। সুবহানাল্লাহ।
আঁধুনিক যোগে কলম ছাড়াও লেখা সম্ভব। এটা কমবেশি সকলেরই জানা। তবে আমি কোন ভাবেই কলমকে ছোট করতেছি না। মহৎ পেন্সিল বা, কলম দিয়ে যোগের সূচনা শুরু। আমরা কলমকে শ্রদ্ধা করি সম্মান করি মন থেকে আজীবন। যদি শক্তি থেকে থাকে তা হলো “লেখার”। আবার প্রশ্ন আসতে পারে “ছাপা”? যা দিয়ে লেখাটি দৃশ্যমান করছেন তাহলে সবথেকে ক্ষমতাবান অস্ত্র ভাবতে পারি “ছাপা”। আমার দর্শণ ছাঁপাও হয় লেখার প্রয়োজনে।
“লেখা” যদি একটি শব্দ হয়? তাহলে কলমও একটি শব্দ? দু’টি শব্দের মধ্যে কোন শব্দটি শক্তিশালী এমন মত পার্থক্য থেকে আলোচনা করা।
এতো পরিমাণ লেখা ও বিশ্লেষণ করার উৎসটি তৈরি করেছেন ফেসবুক স্ক্রল করতে গিয়ে হঠাৎ সামনে পরলো একটি লেখা, “কলম পৃথিবীর মধ্যে সবথেকে বড় অস্ত্র”? দেখে মনে প্রশ্ন তৈরি হওয়ায় নিজস্ব দর্শণ থেকে বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করা মাত্র। কলমের মাধ্যমে বিপ্লব। আসলে কি কলমের মাধ্যমে বিপ্লব হইলো, না, যে লেখাটি কলমের সহযোগিতায় ছাপা হইলো সেই লেখার মাধ্যমে বিপ্লব?
আমি কোন দার্শনিক নয়। আমি সাধারণ একজন গণমাধ্যমকর্মী। সংবাদের পিঁছনে ছুঁটে চলা আমার কাজ। সমাজের চিত্র গণমানুষের সামনে তুলে ধরা আমার দায়িত্ব। গণমাধ্যমে কাজ এটা আমার পেশা, দেশ ও গণমানুষের অধিকার আমার অধিকার।
লেখক: মন্তব্য বা আলোচনাটি, একান্তই আমার ব্যক্তিগত দর্শণ। কোন বিষয়কে ছোট করে দেখা আমার উদ্দেশ্য নয়। আলোচনাকে বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করা, ধন্যবাদ।
লেখক: এম শাহীন আলম শাহীন
পরিচয়:একজন গণমাধ্যম কর্মী।