বাংলাদেশে বর্তমান রাজনৈতিক অস্থিরতা ও সাধারণ মানুষের দুর্দশা।
নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলাদেশ বর্তমানে এক কঠিন সময় পার করছে। রাজনৈতিক বিভাজন, দলীয় সংঘাত এবং ক্ষমতার লড়াইয়ের কারণে সাধারণ মানুষ নানাবিধ সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। অর্থনৈতিক সংকট, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, বেকারত্ব ও আইন-শৃঙ্খলার অবনতি – সব মিলিয়ে মানুষের জীবন এখন দুর্বিষহ।
বর্তমানে দেশের রাজনীতিতে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। শাসক দল এবং বিরোধী দলের মধ্যে চলছে মতবিরোধ, হরতাল, অবরোধ ও সহিংসতা। রাস্তাঘাটে মাঝে মাঝেই সংঘর্ষ, মিছিল, পুলিশের টিয়ার গ্যাস, লাঠিচার্জ – এসব যেন নিত্যদিনের চিত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এই রাজনৈতিক অস্থিরতার সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী হচ্ছে সাধারণ মানুষ। যারা রাজনীতি করে না, তাদের জীবনে এই অস্থিরতা এক অদৃশ্য শিকল হয়ে দাঁড়িয়েছে। কর্মজীবী মানুষকে পথে পথে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে, শ্রমজীবীরা কাজ পাচ্ছে না, ছোট ব্যবসায়ীরা ব্যবসা চালাতে পারছে না। কৃষক, শ্রমিক, চাকরিজীবী – কেউই নিরাপদ নয়।
রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে বিনিয়োগ কমেছে, পণ্য পরিবহনে বিঘ্ন ঘটছে, যার ফলে বাজারে পণ্যের সরবরাহ কমে গেছে। এর প্রভাব সরাসরি পড়ছে দ্রব্যমূল্যের উপর। সাধারণ মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে। খাদ্য, চিকিৎসা, শিক্ষা – সব ক্ষেত্রেই খরচ বেড়েছে।
রাজনৈতিক অস্থিরতার সুযোগে অপরাধচক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, ধর্ষণসহ নানা ধরনের অপরাধ বাড়ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বারবার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করলেও রাজনৈতিক চাপ এবং সীমিত সম্পদের কারণে অনেক সময় তারা ব্যর্থ হচ্ছে।
বর্তমান রাজনৈতিক অস্থিরতা দেশের ভবিষ্যতের জন্য হুমকিস্বরূপ। সব দলের উচিত সংলাপের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করা, যাতে সাধারণ মানুষ স্বস্তির নিশ্বাস ফেলতে পারে। দেশের উন্নয়নের প্রধান শর্ত হচ্ছে স্থিতিশীলতা – সেটাই এখন সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন।